বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন এবং সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে ভারত কোনো সরাসরি মন্তব্য করেনি।
ভিউ: ৫৪
পোস্ট আপডেট ১৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৪ মাস আগে
বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার প্রশ্নে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি। একইভাবে, সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের মন্তব্য সম্পর্কেও ভারতের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে এই দুটি বিষয়েই ভারতের সরকারি অবস্থান আরেকবার ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা উঠে আসে। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের দ্রুত নির্বাচনের প্রসঙ্গটি বিশেষভাবে উঠে আসে, যেখানে ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের প্রসঙ্গ টানা হয়। প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচনের দাবি উঠেছে, এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব কী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরাসরি কোনো মন্তব্য না করলেও তাদের সতর্ক অবস্থান এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রক্ষার কৌশল পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়গুলো ভারতের কূটনৈতিক পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ হলেও, প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাটা কৌশলগত হতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন বা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ধরন নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে স্পষ্ট করেছেন যে ভারত ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগোতে চায়। ভারত বাংলাদেশি জনগণের সঙ্গে একটি দৃঢ় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, যা দুই দেশের জনগণের মঙ্গল বয়ে আনবে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটাই আমাদের মনোভাব। বারবার তা জানানো হয়েছে। এই মনোভাব ইতিবাচক এবং এই মনোভাবই বহাল থাকবে।’
বাংলাদেশে রাজনৈতিক পালাবদলের পর সীমান্ত এলাকায় কিছু অসন্তোষ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ রয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সীমান্ত চুক্তি পর্যালোচনার কথা বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। তবে ভারতের অবস্থান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব জানানো হয়েছে। ভারত দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে আন্তসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় কোনো ঢিলেমি করা হবে না। পণ্যের চোরাচালান, গরু ও মানুষ পাচার রোধে কাঁটাতারের বেড়া, আলোর ব্যবস্থা এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ভারত চায়, দুই দেশের মধ্যে আগে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা কার্যকর করা হোক। সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সরকার অতীতের সব সমঝোতা কার্যকর করুক, এটাই ভারতের প্রত্যাশা।
Copyright © NRS IT 2025