স্বাগতম,পাশে থকুন

youtube twitter facebook instagram

Proper Solutions

সর্বশেষ
বাংলাদেশ বিশ্ব খেলা বিনোদন প্রযুক্তি শিক্ষা চাকরি জীবনযাপন

মণিপুরে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুরে এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

ভিউ: ১৬৪

Street food মেলা ভিজ্যুয়াল

পোস্ট আপডেট ০৯ নভেম্বর ২০২৪   ৬ মাস আগে

ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে আবারও সহিংস সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পশ্চিম মণিপুরের আসাম সীমান্তবর্তী জিরিবাম জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে, যেখানে তিন সন্তানের মা এবং স্থানীয় স্কুলের শিক্ষিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার পর থেকেই পুরো এলাকায় নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়েছে, যার ফলে অন্তত ৩০টি বাড়ি এবং বহু দোকান ভস্মীভূত হয়েছে।

জিরিবাম জেলার পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ৩১ বছর বয়সী এই শিক্ষিকার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। শিক্ষিকার স্বামী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, তাঁর স্ত্রীকে ‘সশস্ত্র মেইতেই জঙ্গিরা’ বর্বরভাবে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

মণিপুরে সাম্প্রতিক সহিংসতা এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক অস্থিরতা উত্তর–পূর্ব ভারতের জটিল সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরো স্পষ্ট করে তুলেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় এক শিক্ষিকাকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয় বলে জানা গেছে। অগ্নিসংযোগের ফলে ওই নারী মারা গেছেন বলে পুলিশ ধারণা করছে এবং তাঁর পোড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আসামের শিলচরে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কায় ওই অঞ্চলে আধা সামরিক বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এই সহিংসতার পর থেকে জিরিবাম এবং তার আশপাশের অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হামর, জোমি, এবং কুকি এই তিন আদিবাসী গোষ্ঠী, যাদের সম্মিলিতভাবে "জো" বলা হয়, তাদের এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু আলোচনা হচ্ছিল। তবে শিক্ষিকা হত্যার ঘটনাটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে এবং ওই আলোচনাকে ভেস্তে দিয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা মনে করছেন। পুলিশের তথ্যমতে, ১৯ অক্টোবরের পর থেকে দুই সপ্তাহ ধরে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি, যার ফলে পরিস্থিতি শান্ত হতে শুরু করেছিল। তবে বৃহস্পতিবারের এই সংঘাত সেই শান্তি প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

মণিপুরে চলমান এই সহিংসতা এবং অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিক্রিয়া না থাকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। মে ২০২৩ থেকে ধারাবাহিক সংঘর্ষে মণিপুরে প্রায় ২৫০ জন নিহত এবং প্রায় ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

এদিকে, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে জো জাতিগোষ্ঠীকে একটি বৃহৎ মঞ্চে একত্রিত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা উত্তর-পূর্ব ভারতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি একটি স্বাধীন জাতি গঠনের সম্ভাবনা এবং আঞ্চলিক আদান-প্রদানের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার এই বক্তব্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যা দীর্ঘদিন পর আবারও স্বাধীনতার দাবির আলোচনাকে সামনে নিয়ে এসেছে।

এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যায়, উত্তর-পূর্ব ভারতে জাতিগত ও রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনো তীব্রভাবে প্রভাব ফেলছে।



কমেন্ট