আসো হেমন্তের সুরে, মিলে যাক সকল মন,নতুন দিনের সূচনা, উদ্যাপন করি ধন।হেমন্ত এল, প্রকৃতি সাজে, ভালোবাসার মাঝে,আমরা সকলেই একসাথে, উদযাপন করি সাজে।
ভিউ: ২১৫
পোস্ট আপডেট ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ৭ মাস আগে
শরতের পায়ে পায়ে আবার হেমন্ত এল এই বাংলায়, যখন আকাশে ছড়িয়ে পড়ে রঙিন মেঘের উড়ান। ধানের ক্ষেতগুলো সোনালি রঙে ভরে যায়, আর বাতাসে ভাসে পাকা ধানের গন্ধ। প্রতিটি গ্রামে উৎসবের আবহে শুরু হয় নতুন দিনের স্বপ্ন, যেখানে গান বাজে, হাসির রেশ এবং মধুর স্মৃতির জাল বুনতে থাকে।
হেমন্ত, বাংলার ঋতুগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে। এটি শরৎ ও শীতের সংযোগকালে আসে, যখন প্রকৃতি নতুন রূপে সাজে। হেমন্তে ভোরবেলা উঠে আসে কোমল শীতল বাতাস, যা শরীরের ভেতরেও এক নতুন উদ্যম এনে দেয়।
গ্রামগঞ্জে হেমন্তে ধান কাটার উৎসব শুরু হয়। মাঠে সোনালী ধান বোঝাই হয়ে ওঠে এবং কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক ফুটে ওঠে। এই সময়ে ধান কাটা, মাড়াই এবং খেতের কাজের মাধ্যমে সমাজে একত্রিত হয় সকল মানুষ।
হেমন্তের শীতল সন্ধ্যায় আকাশে জোনাকির উজ্জ্বল আলো দেখা যায়। এই ঋতুতে প্রকৃতি যেন নতুন একটি গান গায়—পতঙ্গের ভেলা, সোনালী ধানের গন্ধ এবং বাতাসে ভাসে নস্টালজিয়া।
এ সময় বাঙালি সমাজে পিঠা-পুলির আয়োজন করা হয়, বিশেষ করে "পিঠে পিঠে হেমন্ত" উৎসব। লোকজ সংস্কৃতির মাধুর্যে সিক্ত হয়ে ওঠে বাঙালিরা। হেমন্ত আসলে প্রাকৃতিক এবং সাংস্কৃতিক উভয় দিক থেকেই বাংলার মানুষের জন্য এক মহৎ সময়।
হেমন্তে আমাদের এই জনপদে, দূর দেশ থেকে আসে পরিযায়ী পাখি, নতুন দিনের আলোয় উড়ে আসে তারা, নিরবধি শান্তির সুরে গায় ভালোবাসার গীতি। বালিতে খায়দায় সংসার পাতে, আলোর রোশনাইয়ে ভরে দেয় আমাদের দৃষ্টি, শীতের শেষে আবার ফিরে যায়, সাত সমুদ্র তেরো নদী, স্ব জাতীয় ভূমি-এর পথে। হেমন্তের বাতাসে মিষ্টি গন্ধ ছড়ায়, এই জনপদ যেন শান্তির অঙ্গীকার করে, প্রকৃতির রূপে গড়ে উঠুক এক সুন্দর স্বপ্ন, হেমন্তের রোদের মতো হাসুক বাংলাদেশের চেহারা। আসুক নতুন সূর্য, নতুন সম্ভাবনা, জাগুক প্রতিটি হৃদয়ে ভালোবাসার জাগরণ, হেমন্তে গড়ে উঠুক বন্ধুত্বের নতুন মায়া, আমাদের জনপদ হয়ে উঠুক শান্তির কামনা।
Copyright © NRS IT 2025