লালা, থুতু বা স্যালাইভা মুখের ভেতর নিঃসৃত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তরল, যা মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভিউ: ১০৯
পোস্ট আপডেট ০২ মার্চ ২০২৫ ২ মাস আগে
লালা বা স্যালাইভা মুখের মধ্যে নিঃসৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ তরল, যা মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়তা করে। তবে কিছু শিশুদের মধ্যে লালার নিঃসরণের পরিমাণ বেশি হতে পারে, যেমন কথা বলার সময়, ঘুমানোর সময় বা অন্য কোনো কারণে। এই ধরনের পরিস্থিতি কি খারাপ? সাধারণত, দুই বছর বয়স হওয়ার পরও যদি লালা পড়তে থাকে, তবে এটি অস্বাভাবিক হতে পারে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে।
দাঁত ওঠা: সাধারণত শিশুরা ছয় মাস বয়সের পর থেকে দাঁত ওঠা শুরু করে। এই সময়ে তারা যা পায়, তা কামড়াতে চায় এবং শূলশূল বা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে জ্বরও হতে পারে, এবং অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ ঘটে।
ঠান্ডা বা সর্দি: শিশুরা সহজেই ঠান্ডা বা সর্দিতে আক্রান্ত হয়। এতে নাক দিয়ে পানি পড়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, এবং অ্যালার্জি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হতে পারে।
স্নায়ুর সমস্যা: বিশেষ করে ফেসিয়াল নার্ভ, সেরিব্রাল পালসি বা ট্রাইজেমিনাল নার্ভের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত লালা পড়তে পারে।
মুখের সংক্রমণ বা ক্ষত: মুখে কোনো ক্ষত, সাইনাস বা টনসিলের প্রদাহের মতো কিছু সংক্রমণ থেকেও অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হতে পারে।
লোভনীয় বা টকজাতীয় খাবার: টক বা লোভনীয় খাবারের কারণে লালা বেশি নিঃসৃত হতে পারে।
জিবের অস্বাভাবিকতা: জিবের অস্বাভাবিকতা, ঠোঁট বন্ধ না হওয়া, ঠোঁট ও তালুকাটা, বদভ্যাস, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, দাঁতের নতুন ফিলিং, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, অথবা এলোমেলো দাঁত ও ফাঁকা দাঁত থেকেও অতিরিক্ত লালা পড়তে পারে।
সামাজিক সমস্যা: অতিরিক্ত লালা নিঃসরণের কারণে শিশুটি সামাজিকভাবে বিব্রত হতে পারে, মানসিক চাপ অনুভব করতে পারে, এবং সহপাঠী বা বন্ধুদের দ্বারা এড়িয়ে চলার শিকার হতে পারে।
চামড়ার সমস্যায় পড়া: ঠোঁটের চারদিকে, বিশেষ করে দুই কোনায়, ভেজা থাকার কারণে নানা প্রদাহ এবং সংক্রমণ হতে পারে।
দুর্গন্ধ ও দাগ: মুখ ও কাপড়ে দুর্গন্ধ এবং দাগ লেগে থাকতে পারে, যা অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
কথা বলার সময় সমস্যা: কথা বলা, হাসি, বা উচ্চারণ করে পড়ার সময় লালা বেরিয়ে আসতে পারে, যা শিশুর জন্য অস্বস্তিকর।
খাবার গ্রহণে সমস্যা: খাবার গ্রহণের সময় লালা বেরিয়ে আসতে পারে, গিলতে সমস্যা হতে পারে এবং অপুষ্টি দেখা দিতে পারে।
শ্বাসতন্ত্রে সমস্যা: লালা শ্বাসতন্ত্রে ঢুকে কাশি সৃষ্টি করতে পারে, এবং ইনফেকশনের কারণে নিউমোনিয়া হতে পারে।
গলার কাছে লালা জমা: গলার কাছে লালা জমে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
খাবার থেকে বিরত থাকা: অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ হয় এমন খাবার থেকে বিরত থাকা।
ঠিক পজিশনে রাখা: যে পজিশনে বেশি লালা নিঃসৃত হয়, শিশুকে সেভাবে না রেখে মাথা ও ঘাড় ঠিকভাবে রাখার অভ্যাস করানো।
মুখের পরিচর্যা: মুখের পরিচর্যায় কোনো অবহেলা না করা। নরম টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজা এবং ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করা।
অত্যধিক অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ: চুষনি, আঙুল চোষা, এবং অত্যধিক টিভি বা ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ: অল্প অল্প করে পানি পান করানো, আদা চিবানো, পেঁপে জুস পান করানো।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামতের ভিত্তিতে স্পিচ থেরাপি এবং প্রয়োজনে মেডিকেশন নেওয়া।
Copyright © NRS IT 2025