২০২৫ সালের ঢাকার গরুর হাটের পূর্ণ তালিকা, অবস্থান, সময়সূচি, কেনাবেচা, দামের ধরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিস্তারিত
ভিউ: ৮৮১
পোস্ট আপডেট ১৫ মে ২০২৫ ১ সপ্তাহ আগে
ঢাকা, মে ২০২৫ – আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ১৯টি অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসানো হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে এবং হাটগুলোর ইজারা দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে।
উত্তর সিটিতে যেসব এলাকায় অস্থায়ী হাট বসানোর কথা রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হাটের সম্ভাব্য স্থান ও প্রস্তাবিত ইজারা মূল্য নিচে দেওয়া হলো:
১. উত্তরা দিয়াবাড়ী (১৬ ও ১৮ সেক্টর) – প্রায় ৯ কোটি টাকার সম্ভাব্য ইজারা মূল্য।
২. ভাটারা সুতিভোলা খালসংলগ্ন মাঠ – প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
৩. আফতাবনগরের এম ব্লক ও সানভ্যালি এলাকা – প্রায় ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
৪. মিরপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড (ইস্টার্ন হাউজিং) – ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
৫. মোহাম্মদপুর বছিলা রোড – ২ কোটি ২০ লাখ টাকা।
৬. খিলক্ষেত থানাধীন মস্তুল চেকপোস্ট এলাকা – ১ কোটি ৭ হাজার টাকা।
৭. ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট সংলগ্ন মাঠ – ৬৪ লাখ টাকা।
৮. মিরপুর কালশী বালুর মাঠ – ৮০ লাখ টাকা।
৯. ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদ্রাসা থেকে রানাভোলা পর্যন্ত এলাকা – ৮১ লাখ টাকা।
১০. খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক এলাকা – ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।উল্লেখ্য, ইজারা চূড়ান্ত করতে ১৫ মে এবং ২৬ মে দুই দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
দক্ষিণ সিটিতে বসতে যাওয়া হাটগুলোর মধ্যে কিছু হাটের স্থান ও নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে:
১. পোস্তগোলা নদীর পাড় – প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
২. দনিয়া কলেজ ও সনটেক মহিলা মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা – প্রায় ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
৩. সাদেক হোসেন খোকা মাঠ ও ধোলাইখাল এলাকা – প্রায় ৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
৪. ইন্সটিটিউট অব লেদার টেকনোলজি সংলগ্ন মাঠ – প্রায় ৫ কোটি টাকা।
৫. কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন এলাকা – ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
৬. খিলগাঁও রেলগেট সংলগ্ন এলাকা – প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
৭. রহমতগঞ্জ ক্লাবের পাশে – ৬২ লাখ টাকা।
৮. শ্যামপুর কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা – ৬৭ লাখ টাকা
৯. আমুলিয়া আলীগড় কলেজ সংলগ্ন এলাকা – ৫৩ লাখ টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান সম্পত্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারজানা খানম জানিয়েছেন, অস্থায়ী হাটের জন্য প্রথম ধাপের দরপত্র বিক্রির সময়সীমা ১৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ২৬ মে পর্যন্ত দরপত্র গ্রহণ করা হবে।
এই ১৯টি অস্থায়ী হাট ছাড়াও, উত্তর সিটিতে গাবতলী পশুর হাট এবং দক্ষিণ সিটিতে সারুলিয়া পশুর হাট আগের নিয়ম অনুযায়ী চলবে। এসব হাটে পশু বেচাকেনা হবে ঈদের আগের ৫ দিন ধরে, যার মধ্যে ঈদের দিনও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইজারার শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত ট্যাক্স ও ফি জমা দিয়ে ইজারাদারকে কার্যাদেশ নিতে হবে।
আফতাবনগর ও মেরাদিয়ায় হাট বসানোর বিষয়ে পূর্ব পরিকল্পনা থাকলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে।
সতর্কতা ও পরামর্শ:
ক্রেতাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, পশু কেনার সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে তারপর ক্রয় করার জন্য।
হাটে যেতে হলে সম্ভব হলে সকাল বা দুপুরের দিকে যান, তখন ভিড় কম থাকে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বজায় রাখুন এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে না রাখাই ভালো।
খামার মালিক: নিজের খামারে লালন-পালন করা গরু নিয়ে আসেন।
মধ্যস্থ ব্যবসায়ী: বিভিন্ন জেলা থেকে গরু কিনে ঢাকায় এনে বিক্রি করেন।
পাশাপাশি হাটগুলোতে পাওয়া যায়:
দেশি গরু (বাংলাদেশি জাত)
ভারতীয় বা মিশ্র জাতের গরু
কৃত্রিম পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা গরু
গরু কেনার সময় করণীয় ও সাবধানতা
গাবতলী হাট: সরাসরি কৃষক ও ব্যাপারীরা আসে। সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম তুলনামূলক কম থাকে।
দিয়াবাড়ী হাট: উত্তরার জনপ্রিয় হাট, অনেক খামারিরা নিজেরা গরু নিয়ে আসে।
বছিলা হাট: সস্তা, মাঝারি ও বড় গরুর জন্য বিখ্যাত।
পোস্তগোলা হাট: নদীপথে গরু আনার ফলে খরচ কম পড়ে।
পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা
পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন
স্বাস্থ্য সনদ ও পশু চিকিৎসা বুথ
পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও জীবাণুনাশক স্প্রে
মোবাইল মেডিকেল টিম
হটলাইন ও সিসি ক্যামেরা
Copyright © NRS IT 2025